হেল্পলাইন
09638-113322

Logo

নীতিমালা

আইওএম এর শিক্ষার্থীদের জন্য

Islamic Online Madrasah(IOM) একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলার স্বার্থে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কিছু নিয়ম শৃঙ্খলা প্রদত্ত। সকল ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি এই নিয়মকানুন গুলো মেনে চলার অনুরোধ করা হল।

ক্লাস সংক্রান্ত নীতিমালা

  • সকল ভাই-বোনদের জন্য
  • কোনক্রমেই কখনই কারও ভিডিও অন করা যাবে না।
  • কোন বিষয়ে উস্তাদের সাথে মতের মিল না হলে শ্রদ্ধার সাথে তাঁকে সেটা জানাতে হবে। উস্তাদের সাথে এমন কিছু করা যাবে না যাতে করে উস্তাদের সাথে বেয়াদবি হয়ে যায়।
  • জুম অ্যাপের চ্যাটে অতিরিক্ত কিছু লিখা থেকে বিরত থাকতে।
  • নির্দিষ্ট ক্লাসে নির্দিষ্ট বিষয়ের বাইরের কোন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। ফিকহ ক্লাসে ফিকহ নিয়েই প্রশ্ন করতে হবে। খুব বেশী জরুরী হলে ক্লাসের বিষয় পড়ানোর পর ঐ বিষয়ের প্রশ্ন শেষ হয়ে গেলে উস্তাদের অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন করা যেতে পারে। আর যেকোন ফতোয়ার জন্য এই সাইটে পোষ্ট করলে ইনশাআল্লাহ ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে উত্তর পাওয়া যাবে।
  • শেষের ১৫ মিনিট বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন করার চেষ্টা করতে হবে।
  • উস্তাদ যখন কিছু পড়াবেন বা বলবেন হঠাৎ করে উস্তাদকে বাধা দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক কিছু বলে ফেলে উস্তাদের মনোযোগ নষ্ট করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ গেল। যেকোন বিষয়ে আগে উস্তাদকে শেষ করতে দিয়ে তারপর আপনার বিষয় বলা যেতে পারে।
  • অবশ্যই রোল নম্বর দিতে হবে। রোল নম্বর ছাড়া উপস্থিতি গণ্য করা হবে না।
  • ভাইদের জন্য
  • মাইক্রোফোনে কথা বলার সময় খেয়াল রাখতে হবে আশে পাশে যেন অবাঞ্চিত কোন আওয়াজ না হয়।
  • যেহেতু বোনরা কোন ক্লাসেই কথা বলতে পারেন না, তাই ভাইদের খেয়াল রাখতে হবে যেন বোনরা বিরক্ত না হয় বা তাদের কোন সমস্যা না হয় ভাইদের জন্য।
  • তাজবিদ ক্লাসে, দাওয়াহ ক্লাসে যেখানে উস্তাদের সাথে ভাইদের উচ্চারন করতে হয় চেষ্টা করতে হবে ২/ ৩ জন যাদের মাইক্রোফোন আছে পাশে কোন নয়েজ নাই উনারাই শুধু মাইক্রোফোন অন রেখে বাকিরা মিউট থেকে করার।
  • বোনরা যেহেতু কোন প্রশ্ন সরাসরি করতে পারে না সেক্ষেত্রে অনেক সময় উস্তাদগনও প্রশ্ন হয়তো খেয়াল করতে পারেন না। ভাইরা এই প্রশ্নগুলো প্রশ্নোত্তর পর্বে উস্তাদকে বললে ভাল হয়।
  • সকল বোনদের জন্য
  • কম্বাইনড ক্লাসে ভিডিও আর মাইক্রোফোন কোন অবস্থাতেই অন করা যাবে না।শুধুমাত্র বোনদের যে স্পেশাল ক্লাসগুলো হয় সেখানে মাইক্রোফোনে কথা বলবে।
  • ভাইদেরকে প্রাইভেট কোন মেসেজ দেয়া যাবে না।
  • অনেক বোন ভুলবশত মাইক্রোফোন অন করে ফেলেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে অনেকের ভিডিও অন থাকে। এতে করে সব স্টুডেন্ট এবং শিক্ষকও বিব্রত হন। এই বিষয়গুলো বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য কয়েকটা সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারেঃ- ক্যমেরার সামনে একটা কাগজ স্কসটেপ অথবা কিছু একটা দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন। যাতে করে ভুলে ভিডিও অন হয়ে গেলেও ভিডিও দেখা না যায়। কিছু এপস আছে যেগুলো ব্যবহার করলে স্ক্রিন ফিক্সড হয়ে যায়। এই এপ ইন্সটল থাকলে যাস্ট উপর থেকে নিচে টান দিয়ে স্ক্রিন লক করে দিবেন। এবার যতই স্ক্রিন টাচ করা হোক কোন কাজ করবে না। শুধুমাত্র চিন্হিত যায়গায ২/৪/৫ বার ট্যাপ করলে স্ক্রিন আনলক হবে। ক্লাশ করতেও কোন সমস্যা হবে না।

ফি সংক্রান্ত নীতিমালা

  • আলিম এবং অন্যান্য সিঙ্গলে কোর্সের মাসিক ফি ৫০০ টাকা এবং প্রবাসীদের জন্য ১০০০ টাকা। ফি সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • যাদেরকে আল্লাহ আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা দান করেছেন তাদের কাছে অনুরোধ করা যাচ্ছে পুরো সেমিস্টারের ফি অর্থাৎ ৬ মাসের ফি ৩০৬০ টাকা একবারে পেমেন্ট করার জন্য। কেননা প্রতি মাসে এই হিসাব রাখা খুবই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে যাদের আর্থিক সমস্যা তারাই কেবল মাসিক বা ২/৩ মাসে ফি প্রদান করতে পারবেন।
  • প্রত্যেক মাসের ফি উক্ত মাসের ১০ তারিখের মধ্যে প্রদান করতে হবে। ১০ তারিখের মধ্যে পেমেন্ট না করলে ক্যাম্পাস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই নির্দিষ্ট সময়ের পরে পেমেন্ট করলে ক্যাম্পাস খোলা বাবদ ১০০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে।

রি-এডমিশন নীতিমালা

  • রি-এডমিশন ফি ১০০০ টাকা।
  • ১ বছরের অধিক গ্যাপ হলে প্রথম সেমিস্টার থেকে কন্টিনিউ করতে হবে।
  • রি-এডমিট হতে হলে সাপোর্টে জানাতে হবে।

সিস্টার স্পেশাল ক্লাশ ও সিস্টার ডিসকাশন রুমের কিছু নিয়মাবলি

জয়েন করার শর্তাবলী:

১. এই ক্লাশগুলোতে শুধুমাত্র আপুরাই জয়েন করবেন।

২. ক্লাশের লিঙ্ক এবং আইডি অন্য লিঙ্ক থেকে আলাদা। এই লিঙ্কগুলো বা আইডি সর্বোচ্চ প্রাইভেসী বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। এই লিঙ্কগুলো কারও সাথে শেয়ার করা যাবে না।

৩. এই ক্লাশগুলোতে বোনরাও তাদের প্রশ্ন সরাসরি ভয়েসের মাধ্যমে করতে পারবেন।

৪. কোনো ক্রমেই কারও ভিডিও অন করা যাবে না। কেননা ভুল ক্রমে কারও হাজবেন্ড অথবা মাহরাম চলে আসলেও যাতে পর্দার সমস্যা না হয়।

৫. ক্লাশের সময় যাতে কম্পিউটারের সামনে কোন পুরুষ মানুষ না বসে এটা সম্পূর্ন স্টিক্টলি মেইনটেইন করতে হবে।

৬. আপনার মাহরাম পুরুষও যাতে কেউ ক্লাশের সামনে না বসে। কারন আপনার মাহরাম হলেও যিনি ক্লাশ নিচ্ছেন তার জন্য নন মাহরাম।

আর উপরোক্ত বিষয়গুলো নিজ জিম্মাদারীতে আল্লাহর জন্য স্ট্রিকলি ফলো করার জন্য অনুরোধ করা গেল।

ডিসকাশন রুম এর নিয়মাবলি:

১. প্রতিদিনি দুইটা/তিনটা ক্লাশের আলোচনা হবে।

২. প্রতিটা সাবজেক্টের জন্য স্টুডেন্টদের মধ্যে থেকেই একজনকে ওস্তাদ হিসেবে নির্বাচন করে ক্লাশ শুরু করতে হবে। যদি ২ টা সাবজেক্টের আলোচনা হয় তবে দুইজন বোন ওস্তাদ হিসেবে থেকে বাকিদের সাহায্য করবেন। সবাই সমানভাবে ক্লাশে অংশগ্রহণ করবেন তবে ওস্তাদদের দায়িত্ব ক্লাশের টাইম, টপিকস ইত্যাদি মেইনটেইন করা। যারা ওস্তাদ হিসেবে থাকবেন তাদের জিম্মাদারী ক্লাশে যাতে সবাই উপকৃত হয়, শিখতে পারে এবং সময়টা কাজে লাগে এ বিষয়ে আল্লাহর জন্যই খেয়াল রাখা।

তাজবীদের ক্ষেত্রে যারা পরীক্ষাগুলোতে সর্বোচ্চ মার্কস পেয়েছেন তারা উপস্থিত থাকলেই তারাই ওস্থাদ হিসেবে থাকার চেষ্টা করা।

৩. প্রতিদিনের শুরুতে সবার ঈমানী খোজ-খবর নেওয়ার মাধ্যমে ক্লাশ শুরু হবে। যেমন কার কার তাহাজ্জুদ হচ্ছে। কারও নামাজ ছুটছে কিনা। কার কয় পারা কোরআন শরীফ পড়া হল ইত্যাদি।

৪. প্রতিদিন শেষে পরবর্তী দিন কোন কোন ক্লাশ হবে ঐ ক্লাশে কে কে ওস্তাদ হিসেবে থাকবেন এটা সবার মতামতের মাধ্যমে ঠিক করা। প্রতিদিন ওস্তাদ পরিবর্তন হলেই ভাল। কোন একজনের উপর চাপিয়ে না দেওয়া।

৫. আলোচনার ক্ষেত্রে কোন মাযহাব বা মানহাজ নিয়ে আলোচনা করা যাবে না। সব মাযহাবই কিংবা মানহাজই আলহামদুলিল্লাহ ঠিক আছে। তবে আমাদের স্টুডেন্টদের ৯৫% যেহেতু হানাফী মাযহাবের তাই নামাজ বা অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হলে হানাফী ফিকের নিয়মটা আলোচনা করতে হবে এবং বলে দিতে হবে অন্যান্য নিয়ম যারা ফলো করছেন তাদেরটাও ঠিক আছে। কারন IOM এর উদ্দেশ্য কোন মানহায বা মাজহাবকে প্রতিষ্ঠিত করা নয় বরং সবাইকে দায়ী এবং ঈমানওয়ালা বানান।

ফেসবুক গ্রুপ এবং গ্রুপ চ্যাটিং সংক্রান্ত

ফেসবুক গ্রুপে পোষ্ট এবং চ্যাটিং সংক্রান্ত

IOM একটি পরিবার। আর আমরা সবাই এই পরিবারের সদস্যা। অন্যান্য দুনিয়াবী গ্রুপ গুলোতে একত্রিত হওয়ার ভিতরে কোন না কোন দুনিয়াবি স্বার্থ থাকে। কিন্তু এই গ্রুপে জয়েন করা দ্বীন শিক্ষা ও আল্লাহকে খুশি করার জন্য। এই গ্রুপে শুধু স্টুডেন্টরাই জয়েন করতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ যদি আল্লাহ রাখেন, আমরা আমাদের শেষদিন পর্যন্ত গ্রুপে থাকার আশা রাখছি।

পড়াশুনা, হ্যান্ডনোট শেয়ার করার পাশাপাশি এই গ্রুপের সদস্য হিসেবে আরও কিছু বিষয় আমরা গ্রুপে আশা করছি।

আজকে আমাদের সমাজ থেকে দ্বীনের প্রাকটিস একেবারে উঠে গেছে বললেই চলে। আমাদের সমাজে আজ একটা বিয়েতে একদিনে যে পরিমান পাপ হয় মনে হয় ওই এলাকায় সারা মাসের সবারও পাপের থেকেও বেশি। আজকে মৃত্যু হয়েছে রিইউনিয়ন। আজকে কেউ মারা গেলে তার দেশ বিদেশের আত্মীয় স্বজন জড় হয়। আর সাক্ষাতে মৃত ব্যাক্তির জন্য দোয়া তেলাওয়াত বাদ দিয়ে এতদিন পর সবার সাথে দেখা হওয়া ফিলিংস শেয়ার হতে থাকে।

এই বিষয়গুলো বিবেচনায় আমরা চাচ্ছি রাসূল সঃ তার সাহাবা রাঃ জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে সব বিষয়েই একে অপরের পাশে দাড়াতেন। আমরাও IOM থেকে তেমনটাই আশা করছি।

১। আমাদের কারও বেবি জন্ম গ্রহণ করলে, ক্লাশেই ইনশাআল্লাহ সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। আগত সন্তান যাতে সারা দুনিয়ার দ্বীনের দায়ী হতে পারেন এ বিষয় নিয়ে।

২। আমাদের অনেকেই বিবাহের ক্ষেত্রে দ্বীনদার পাত্র/পাত্রী খুজেন। সেক্ষেত্রে আমাদের এই প্লাটফর্মে মোটামুটি সবার ভিতরেই দ্বীনের আগ্রহ রয়েছে বিধায়ই আমরা একত্রিত হয়েছি। আর এক্ষত্রে যেসব ভাই বোনেরা দ্বীনদার পাত্র/পাত্রী খুজছেন তাদের সিভি কালেক্ট করার একটা গোপনীয় ব্যবস্থা ওয়েবসাইটে করা হয়েছে । আর পাত্র/ পাত্রীর চাহিদা যদি মিলে যায় সেক্ষেত্রে পাত্রীর মাহরাম অভিবাবকের সাথে পাত্রের অবিভাবকের যোগাযোগের ব্যবস্থা করিয়ে দেওয়া হবে ইনশাল্লাহ। এটাও সম্পূর্ন আল্লাহর জন্য।

আর এটা শুধু এডমিনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য আমাদের এমন একজন হাজবেন্ড ওয়াইফ দরকার যাদের দুইজনই ভর্তি হয়েছেন। দুইজন দুই গ্রুপে আছেন।

রাসূল সাল্লা্ল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন ঃ

কোন বান্দা যখন বিয়ে করলো, তখন সে তো দ্বীনের অর্ধেকটা পূর্ণ করে ফেললো। অতঃপর সে যেন অবশিষ্ট অর্ধেকের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে।

আর এ ব্যাপারে যে শুধু আল্লাহর জন্যই সহায়তা করবে আল্লাহ অবশ্যই এর বদলা দিবেন।

৩। আমাদের কারও বাবা-মা অথবা হাজবেন্ড অথবা ওয়াইফ এর মধ্যে কেউ যদি মৃত্যু বরণ করেন তবে আমাদের গ্রুপে জানালে ঐ দিনের ক্লাশে ইনশাআল্লাহ শিক্ষককে জানিয়ে দেওয়া হবে। ইনশাআল্লাহ শিক্ষক অফলাইন মাদ্রাসায় এবং IOM এর সব স্টুডেন্টদের নিয়ে তার মাগফেরাতের জন্য দোয়া করবেন।

৪। আর আমাদের ভিতর থেকে কোন স্টুডেন্ট আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলে আমাদের জানানো হলে আমরা ইনশাআল্লাহ কয়েকটি কাজ করবঃ

ক। তার যেখানে জানাজা হবে আমরা উক্ত স্থান এবং সময় অফিশিয়ালি এনাউন্স করা হবে। নিকটস্থ স্টুডেন্টরা জানাযায় শরীক হবেন ইনশাআল্লাহ ।

খ। মৃত ভাই/ বোনের মাগফেরাতের জন্য সবাই দু’আ করা।

১. রাজনৈতিক পোষ্টঃ গ্রুপে বা চ্যাটিং এ কখনই রাজনৈতিক কোন পোষ্ট দেওয়া যাবে না। ভিন্ন ভিন্ন স্টু ডেন্ট বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সবাইকে আমার মতাদর্শের সাথে একমত করার কোন প্রয়োজন নেই।

২. ধর্মীয় বিতর্কিত পোষ্টঃ ধর্মীয় বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারতে পারে এমন কোন বিতর্কিত পোষ্ট দেওয়া বা শেয়ার করা যাবে না। শুধু উৎসাহ মূলক পোষ্ট দেওয়া যেতে পারে।

৩. মাযহাবের বিতর্কঃ IOM সব সময় সকল মাযহাব বা মানহাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মাযহাব নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করে এমন কোন পোষ্ট দেওয়া বা আলোচনা করা যাবে না। পক্ষেও না বিপক্ষে না। IOM বিশ্বাস করে সকল মাযহাব মানহায সবগুলোই সঠিক। অন্যদিকে মাযহাবগত পার্থক্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র নফলের মধ্যে সীমাবদ্ধ। বাকি ফরজ নিয়ে কারও কোন মতপার্থক্য নেই। তাই নফল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার কোন অবকাশ নেই।

৪. বিদ্বেষ পোষনঃ ব্যক্তিগতভাবে কোন একজন আলেম অথবা স্কলারকে আমার ভাল নাও লাগতে পারে। কিন্তু এখানে কাউকে কটাক্ষ করে পোষ্ট দেওয়া বা পোষ্ট শেয়ার করা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ।

৫. দান সংগ্রহঃ কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তির জন্য অর্থসংগ্রহের জন্য কোন ধরনের পোষ্ট বা চ্যাটিং দিতে হলে অবশ্যই এডমিনের অনুমতি সাপেক্ষে দিতে পারবে। এডমিনের অনুমতি ব্যতিত কোন ধরনের দান সংগ্রহ সম্পূর্ন নিষিদ্ধ।

চ্যাটিং সংক্রান্ত কিছু বিশেষ সতর্কতাঃ

১. সময় নষ্ট করাঃ অযথা চ্যাটিং এর মাধ্যমে সময় নষ্ট না করে যদি ঐ সময় তেলাওয়াত বা কোন একটা আমলে সময় দেওয়া যায় তাহলে কতই না সুন্দর হয়। মনে রাখা দরকার চ্যাটিং মাদ্রাসা পড়াশোনার কোন অংশ নয়।

আর যেকোন অফিশিয়াল নোটিশ গ্রুপে এবং বার্তা গ্রুপে পোষ্ট আকারে এবং পিন পোষ্ট হিসেবে দেওয়া হবে। গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ এর জন্য চ্যাটিং এ এক্টিভ থাকা প্রয়োজন নয়।

২. চ্যাটিংয়ের সময়ঃ চ্যাটিং সর্বোচ্চ সময় সকাল ১০ টা থেকে রাত ১১ টার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা। কেননা রাত ১২ পর চ্যাটিংয়ের কারনে কারও তাহাজ্জুদ মিস কিংবা ফজর নষ্ট হয়ে গেলে এটা গুনাহের কারনে পরিনত হবে।

৩. পরিবারকে সময় দেওয়াঃ অযথা চ্যাটিং এ সময় নষ্ট না করে বেশি সময় পরিবার ও বাচ্চাদেরকে সময় দিলে ভালো হয়। কেননা ক্লাশের সময়গুলোই মাদ্রাসার সময়। ক্লাশ বাদে অন্য চ্যাটিংয়ের সময়গুলো মাদ্রাসার সময় নয়।

৪. চ্যাট নোটিফিকেশন অফ রাখাঃ অন্যদের চ্যাটিং এর ফলে সারাদিন নোটিফেকশন আসা বিরক্তির কারন হতে পারে। তাই চ্যাট নোটিফিকেশন অফ করে রাখতে রাখতে পারেন।

৫. ক্লাশ চলাকালীন চ্যাটিং অফ রাখাঃ ক্লাশ চলাকালীন সময়ে চ্যাটিং না করার জন্য অনুরোধ করা গেল।

৬.আইওএম এর কোনো গ্রুপে অন্য কোনো অর্গানাইজেশন সংশ্লিষ্ট লিঙ্ক শেয়ার করা নিষেধ।

পেমেন্ট সংক্রান্ত:

সেমিস্টার অথবা মাসিক ফি প্রদান:

যাদেরকে আল্লাহ আর্থিকভাবে সচ্ছলতা দান করেছেন তাদের কাজে অনুরোধ করা যাচ্ছে পুরো সেমিস্টারের ফি অর্থাৎ ৬ মাসের ফি ৩০৬০ টাকা একবারে পেমেন্টে করার জন্য। কেননা প্রতি মাসে এই হিসাব রাখা খুবই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে যাদের আর্থিক সমস্যা তারাই কেবল মাসিক বা ২/৩ মাসের ফি একসাথে প্রদান করতে পারবেন।

প্রত্যেক মাসের ফি উক্ত মাসের ১০ তারিখের মধ্যে প্রদান করতে হবে। ১০ তারিখের মধ্যে পেমেন্ট না করলে ক্যাম্পাস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই নির্দিষ্ট সময়ের পরে পেমেন্ট করলে ক্যাম্পাস খোলা বাবদ ১০০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে।

ফি প্রদানের নিয়ম:

ফি প্রদানের ক্ষেত্রে পেমেন্ট গেটওয়ে মেইন অপশন।

Payment Gateway এর কোন অপশন আপনার কাছে না থাকলে সে ক্ষেত্রে Bank/Bkash/Rocket/Nagad এর মাধ্যমেও দিতে পারবেন।

সেমিস্টার ফি যে যে মাধ্যমেই পেমেন্ট করবেন পেমেন্টের পর অবশ্যই ডিপোজিট স্লিপ ফর্ম পূরন করা লাগবে। পেমেন্টে ফর্ম পূরন না করলে পেমেন্ট আপডেট হবে না।

ফিস পেমেন্টের ডাইরেক্ট লিঙ্ক: https://iom.edu.bd/fees/

পেমেন্ট স্ট্যাটাস চেক করা, রেজাল্ট দেখা, উপস্থিতি নম্বর: আপনার জমা দেওয়া ফি আপডেট হয়েছে কিনা কিংবা রেজাল্ট দেখা কিংবা গতকালের ক্লাশের উপস্থিতি কাউন্ট হয়েছে কিনা দেখার জন্য ক্যাম্পাসের যেকোনো সাবজেক্টের Attendance, Payment, Results নামের সেকশনটি চেক করুন।

প্রবাসী বাংলাদেশীদের সেমিস্টার ফি প্রদান: সেমিস্টার ফি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রবাসী ভাই/বোনদের জন্য আলিম কোর্স অথবা যেকোন একটা সিঙ্গেল সাবজেক্টের জন্য মাসিক ফি দেশি স্টুডেন্টের ডাবল। তবে ভর্তি ফি সবার একই।

কারও যদি সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে। প্রবাসীরা বাংলাদেশি ফি জমা দিলে সেমিস্টার ফি কাউন্ট হবে না।


ফতোয়া সংক্রান্ত:

বিভিন্ন বিষয়ে ফতোয়া বা মাসআলা প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য IOM এর রয়েছে একাধিক সদস্য বিশিষ্ট একটা ইফতা বোর্ড।

ক্লাশে শুধু ক্লাশ রিলেডেট প্রশ্ন ছাড়া যেকোন কোন ধরনের ফতোয়া জিজ্ঞাসা করা নিষেধ।

তাই যেকোন ফতোয়ার জন্য এই ওয়েবসাইটে প্রশ্ন করতে পারবেন : https://ifatwa.info/

আশা করি খুব দ্রুত ফতোয়াগুলো উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

পরীক্ষা সংক্রান্ত:

ক্লাশ টেস্ট অন্যান্য সাবজেক্টের ক্ষেত্রে এমসিকিউ, তাজবীদের ক্ষেত্রে ভাইভা। সেমিস্টার ফাইনালে প্রতিটা সাবজেক্টের ক্ষেত্রে ১০০ মার্কস এর পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা বা অন্য যেকোন বিষয়ে সংশোধনের জন্য সাপোর্টে জানাতে হবে।

পরীক্ষার ফলাফল ও পরবর্তী সেমিস্টারে উর্ত্তীণ হওয়া বিষয়ক নোটিশ

তাজউইদ নোটিশ: তাজউইদ ফাইনাল ভাইভাতে তিলাওয়াতে ৭০% মার্ক পেলে পরবর্তী সেমেস্টারে উত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য হবে। ৭০% এর কম পেলে পরবর্তী সেমিস্টার কন্টিনিউ করার পাশাপাশি জুনিয়র ব্যাচের সাথে নিজের সুবিধামত যেকোনো একটি মশক গ্রুপে মশক কন্টিনিউ করতে হবে এবং মশকে রেগুলার উপস্থিত থেকে পড়া দিতে হবে। এক্ষেত্রে এটেন্ডেন্স কাউন্ট হবে। সেমিস্টার শেষে উক্ত মশক গ্রুপের এটেন্ডেন্স চেক করা হবে। উক্ত এটেন্ডেন্স ৮০% এর কম হলে সিঙ্গেল তাজউইদ কোর্সে ভর্তি হয়ে আবার কন্টিনিউ করতে হবে।

তাজবীদ ব্যতীত অন্যান্য সাবজেক্ট বিষয়ে: প্রতিটি সাবজেক্টে যারা ৪০% পেয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ তারা পরবর্তী সেমিস্টারে উর্ত্তীণ হয়েছেন। যারা দুইয়ের অধিক সাবজেক্টে ৪০% এর নিচে পেয়েছেন কিংবা পরীক্ষা দেননি তারা পরবর্তী সেমেস্টারে ঐ এক/দুই কোর্স ‘রিটেক’ নিবেন।
(দুইয়ের অধিক তিনটি/চারটি কোর্স এক সেমিস্টার এ রিটেক নেবার সুযোগ নেই। এক সেমিস্টারে তিনটি/চারটি কোর্সেই এবসেন্ট/ফেল করলে অনুত্তীর্ণ ধরা হবে এবং সেমিস্টার ড্রপ দিয়ে রি-এডমিট হতে হবে)

কোর্স রিটেক কি?

যারা সবোর্চ্চ দুটো সাবজেক্টে ৪০% এর নিচে আছেন বা পরীক্ষা দেয়নি,তারা পরবর্তী সেমিস্টারে উঠেছেন কিন্তু তাদেরকে একই সাথে আগের ব্যাচে ফেল করা দুই ১/২ কোর্স পরবর্তী ব্যাচের সাথে কন্টিনিউ করতে হবে (রিটেক নিতে হবে)।

কোর্স রিটেক নেয়ার নিয়ম-

কোর্স প্রতি ৫০০ টাকা কোর্স রিটেক ফি পে করে অবশ্যই সাপোর্টে বিস্তারিত জানাতে হবে। তারপর ক্যাম্পাসে আপনাদের নতুন সেমিস্টারের কোর্সগুলোর সাথে পূর্ববর্তী সেমিস্টারের ফেল করা কোর্সও এড করে দেয়া হবে।

এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, রিটেক নেয়া কোর্সের পরীক্ষার ক্ষেত্রে যেই পরীক্ষায় আগের সেমিস্টারে ফেল করেছিলেন বা পরীক্ষা দেননি। শুধু সেই পরীক্ষা ই দিবেন(Mid exam ফেইল করলে শুধুমাত্র mid exam এর সময়ে ঐ পরীক্ষা টাই দিবেন পরবর্তী ব্যাচের সাথে এবং প্রাপ্ত মার্ক সাপোর্টে জানাবেন। )

কারো ক্ষেত্রে উপরিউল্লিখিত রিটেকের শর্তাবলী অনুপস্থিত থাকলে নিজের ইচ্ছামত ইচ্ছামতো কোর্স রিটেক নেয়া যাবেনা।

এরাবিকে এমসিকিউ+লিখিত দুটো মিলেই ক্লাসটেস্ট ও মিডসহ ৪০% আসলে পাশ ধরা হবে। কেউ যদি এমসিকিউ দিয়েছে এবং এতেই ক্লাসটেস্ট+মিডসহ টোটাল ৪০% পেয়ে যায় তাতে সে পাশ বলে গণ্য হবে। একই শর্ত শুধু রিটেন দিলেও।

কোর্স ইমপ্রুভমেন্ট কি?

কোনো নির্দিষ্ট সাবজেক্টে আশানুরূপ মার্কস থেকে কম মার্কস পেলে, পরবর্তী সেমিস্টারে ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার মাধ্যমে মার্কস আপডেট করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বি:দ্র: সর্বোচ্চ দুইটি সাবজেক্টে ইমপ্রুভমেন্ট নেওয়া যাবে ইন শা আল্লাহ।

কোর্স ইমপ্রুভমেন্ট নেয়ার নিয়ম-

কোর্স প্রতি ৫০০ টাকা কোর্স ইমপ্রুভমেন্ট ফি পে করে অবশ্যই সাপোর্টে বিস্তারিত জানাতে হবে। তারপর ক্যাম্পাসে আপনাদের নতুন সেমিস্টারের কোর্সগুলোর সাথে পূর্ববর্তী সেমিস্টারের ইমপ্রুভ নেওয়া কোর্সও এড করে দেয়া হবে।
পরীক্ষা দেওয়ার পরে প্রাপ্ত মার্কস, পূর্বের মার্কস থেকে বেশি হলে সাপোর্টে জানিয়ে রেজাল্ট শীটে আপডেট করে নিতে পারবেন ইন শা আল্লাহ।


কোনো স্টুডেন্টের বিপদে গ্রুপ থেকে অর্থ সংগ্রহের শর্ত

কারও জন্য গ্রুপ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে হলে অবশ্যই কতৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হবে। অনুমতি ছাড়া কোনো অর্থ সংগ্রহের পোষ্ট দিলে গ্রুপ থেকে ব্যান্ড করা হবে।
অনুমতির জন্য:
১. অবশ্যই প্রার্থীকে আলিম কোর্সের রানিং স্টুডেন্ট হতে হবে।
২. নওমুসলিম হলে প্রাধান্য পাবে।
৩. পারিবারের আর্থিক হালত দুর্বল, যার ফলে স্কলারশিপ নিয়েও মাদ্রাসার ক্লাস কন্টিনিউ করা সম্ভব হচ্ছে না অন্যান্য জিনিসের অভাবে। (যেমনঃ মোবাইলের/বই….ইত্যাদি)
৪. মাদ্রাসার ভাই-বোনদের বিয়ের ক্ষেত্রে…. যারা সাদকাহ পাওয়ার উপযুক্ত।
৫. সাদকায়ে জারিয়াহ পাওয়ার উপযুক্ত স্টুডেন্ট ভাই-বোন।
৬. স্থায়ী কর্ম সংস্থানের ব্যাপারে সাহায্য করা। যেমনঃ ভাইদেরকে কোনো চাকরীর ব্যবস্থা করে দেয়া; বোনদের পরিবারে গৃহপালিত পশু-পাখি, সেলাই মেশিন অথবা ঘরে বসে ব্যবসা করা যাচ্ছে অর্থাৎ হোমমেড ফুড বিজনেস ইত্যাদিতে পুঁজি দিয়ে সাহায্য করা।)


IOM ফ্রি Matrimony হেল্প:

IOM ”AHLIA” Matrimony ওয়েবসাইট:

বিয়ে করা নবীর বড় সুন্নতের ভিতর একটি। ইসলামের অন্যতম রীতি ও বিধান। যা মানুষকে যিনা থেকে রক্ষা করে। হাদিস শরীফে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি বিয়ে করল তার অর্ধেক দ্বীন-ঈমান পূর্ণ হয়ে গেল, সে যেন বাকি অর্ধেকের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করে চলে’।-মিশকাত শরীফ…

আমাদের স্টুডেন্টদের ভিতরে অনেক দ্বীনদার পাত্র/পাত্রী আছেন। তাই আপনার সিভি আমাদের ওয়েবসাইটে দিলে আমাদের প্রতিনিধিরা যাচাই বাছাই করে বিবাহের জন্য হেল্প করবেন ইনশআল্লাহ।

আপনার প্রদত্ত সব তথ্য ইনশাআল্লাহ শুধুমাত্র বিবাহ সংক্রান্ত কাজে সম্পূর্ন গোপনীয়তা রক্ষা করেই ব্যবহার করা হবে….